গোল্ডেন টিউলিপের সুস্বাদু খাবার ও আতিথেয়তায় মুগ্ধ অতিথিগণ....


কলকাতা, ২৪ অক্টোবর, ২০২৩। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব হলো দুর্গোৎসব। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে বিশ্বের সমস্ত বাঙালির একটাই ভাবনা থাকে কি ভাবে এই প্রিয় উৎসবকে রাঙিয়ে তোলা যায়। পুজো মানেই নতুন জামা কাপড় একটু সাজুগুজু সেইসাথে কব্জি ডুবিয়ে ভালো খাবার খাওয়া।  বাড়িতে রোজকার খাবারের স্বাদ বদলাতে দুর্গাপুজোর পাঁচটি দিন একটু হোটেল রেঁস্তোরার সুস্বাদু খাবারের স্বাদ নেওয়া। এই এই পুজোয় কলকাতার বিভিন্ন হোটেল ও রেস্টুরেন্ট নানাবিধ খাবারের ডালি নিয়ে হাজির হয়েছিল অতিথিদের জন্য। কলকাতার যে সব হোটেল পুজোর কদিন খাদ্য রসিকদের জন্য ভালো খাবারের আয়োজন করেছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম সল্টলেকের গোল্ডেন টিউলিপ হোটেল। এই হোটেল বহুদিন ধরেই পুজোর পাঁচদিন নানান স্বাদের খাবারের আয়োজন করে থাকে। এই হোটেল কতৃপক্ষ গত ২০ অক্টোবর দুর্গা ষষ্ঠীর দিন থেকে ২৪ অক্টোবর দশমীর দিন পর্যন্ত অসাধারণ সব বাঙালি খাবারের ডালি সাজিয়ে হাজির হয়েছিল অতিথিদের জন্য। ক্যাচ লাইন ছিল নতুন সাজে পুরোনো আদলে বনেদী ঘরানা "পুজোর আড়ম্বর ও আহার" পুজোর এই পাঁচদিন দুপুরের খাবার এবং রাতের খাবার সাধারণ মানুষ যে ভাবে আনন্দ নিয়ে এবং তৃপ্তি ভরে খেয়েছেন আমরা হোটেল কতৃপক্ষ এই সেবা দিতে পেরে অত্যন্ত খুশি এবং আনন্দিত। এ কথা জানালেন হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার সুমন্ত মাইতি। সুমন্ত বাবু বলেন আমাদের হোটেলের সকল স্টাফ মেম্বার যে ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে অতিথিদের পরিষেবা দিয়েছেন সেটা সত্যি উল্লেখযোগ্য। আমাদের তৃতীয়তলে মাল্টিকুইসিন রেস্টুরেন্ট এবং সপ্তম তলায় চারিদিকে কাঁচ দিয়ে ঘেরা AURA রেস্টুরেন্ট। এখানে অন্যধরণের খাবারের সাথে  মকটেল এবং ককটেল অতিথিদের খুশি করেছে। এই ঘর থেকেই সিটি সেন্টার মেট্রো স্টেশন সহ সল্টলেকের মনোরম দৃশ্য খুব ভালো ভাবে দেখা যায়। এই প্রতিবেদক দেখতে পেলেন এক দম্পতি থালির পুরো খাবার খেয়ে শেষ করতে পারলেন না। হোটেলের বুফে তে যে পরিমানে খাবারের আয়োজন করা হয়েছিল যা একবারে খেয়ে শেষ করা মুস্কিল। জিভে জল আনা কয়েকটি খাবারের নাম এখানে উল্লেখ করছি। স্বাগত জানাতে ছিল আম পোড়া শরবত স্ট্রবেরি লসসি। স্টার্টার মেনুতে ছিল বহিল মিলিমিশি সব্জির কাটলেট, পনির টিক্কা, মুরগি মালাই কাবাব এবং মাছের চপ। নানাবিধ স্যালাডের কথা ছেড়েই দিলাম। মেন কোর্স এ ছিল মিলিমিশি ভাজা, লুচি, রাধাবল্লভি, ছানার ডালনা, আম মুরগি, সর্ষে মাছ, হান্ডি মটন, চিংড়ি পুটলি ভাপা, নারকেলি ছোলার ডাল, ভেজিটেবল বিরিয়ানি, ভেজিটেবল সেজওয়ান ফ্রায়েড রাইস, চিলি সোয়া ভেজ ডাম্পলিংস এবং শেষ পাতে বহু ধরণের মিষ্টির সাথে মিষ্টি দই, আইসক্রিম পুডিং সহ আরো অনেক কিছু। এক পরিবারের চারজন বুফে তে খাবার নেওয়ার সময় জানালেন এত পরিমান খাবার একসাথে খেয়ে ফেলা সম্ভব নয়। এই হোটেলের আতিথেয়তা বহুদিন মনে থাকবে।   

Popular posts from this blog

MSME-DFO, Kolkata organized Vendor Development Programme for the MSME Sector at Indian Institute of Packaging, Kolkata

Nephrocare India celebrates its second anniversary by organizing a Walkathon – ‘A walk for your kidney’ and spread awareness for better Kidney care

Karnataka Tourism: A Cultural Odyssey Unveiled at IITM Hyderabad 2023