উত্তর কলকাতার দমদম পার্ক ক্রীড়াঙ্গনে দশ দিনব্যাপী দশম দমদম পার্ক প্রিমিয়ার লীগের ক্রিকেট খেলা শুরু হলো....

 কলকাতা ২৪ নভেম্বর, ২০২৩। কলকাতার দমদম পার্কের দুর্গাপুজোর খ্যাতি এখন রাজ্য সহ দেশ জুড়ে। স্থানীয় দমদম পার্ক ক্রীড়াঙ্গনে প্রতিবছরের মত এই বছর ২৪ নভেম্বর থেকে আগামী মাসের ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০ দিনব্যাপী দশম ডি পি এল অর্থাৎ দমদম পার্ক প্রিমিয়ার লীগ ক্রিকেট শুরু হলো। মোট আট ওভারের খেলাতে যোগ দিয়েছে ১৪ টি দল। ৪ টি দলের খেলোয়াড়দের বয়স ৪০ উর্দ্ধ। স্থানীয় চার যুবক সায়ন্তন কাঞ্জিলাল, প্রতীম ভট্টাচার্য ,আশুতোষ ভট্টাচার্য ও সুবীর দাস এর উদ্যোগে দমদম পার্ক এলাকার নতুন প্রজন্মের কাছে অবক্ষয়ের সংকটময় মুহুর্তে দিশা দেখাতে সুস্থ জীবনের পথে পরিচালিত করতে ক্রিকেট প্রতিযোগিতা শুরু করেন।নিজেদের পকেটের খরচায় যে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলার আয়োজন করেন দশ বছরের ব্যবধানে আজ যা মহীরুহে পরিণত হয়েছে।
এই অনুষ্ঠানের আয়োজকদের যুগ্ম সম্পাদক আশুতোষ ভট্টাচার্য ও সুবীর দাস।সভাপতি সায়ন্তন কাঞ্জিলাল। এই টুর্নামেন্টের মুখ্য আকর্ষণ দল গঠন। আই পি এলের ধাঁচে খেলোয়াড় নিলাম হয়। তবে টাকার বদলে পয়েন্ট দেওয়া হয়। খেলোয়াড়রা নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেন ৩০০ টাকার বিনিময়ে।স্থানীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা ১৪ জন দল গঠন করেন খেলোয়াড়দের কুশলতার মাপকাঠিতে। ম্যান অফ দি ম্যাচের ৫ হাজার টাকা পুরষ্কার দেওয়া হয়। চূড়ান্ত বিজয়ী দলকে দেওয়া হয় ৪০ হাজার টাকা। চূড়ান্ত পর্যায়ে বিজিত দলের প্রাপ্য হয় ৩০ হাজার টাকা। চারটি ৪০ ঊর্দ্ধ বিজয়ী দল পায় ২৫ হাজার ও বিজিত দল পায় ১৮ হাজার টাকা। সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক প্রেক্ষিতে এই অনুষ্ঠানের খরচ স্থানীয় মানুষ , সংগঠনের ৩০ জন সদস্য ও বিজ্ঞাপনদাতারা বহন করেন।
প্রতিযোগিতার প্রথম দিন প্রধান অতিথি হিসাবে যেমন উপস্থিত থাকেন স্থানীয় বিধায়ক ও রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বোস তেমন আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এক সমাজসেবী সংস্থার ৫০ জন সমাজের ব্রাত্য শিশুদের অতিথি হিসাবে। এদিন হাজির হয়েছিল প্রায় ২০ জন শিশু।তাঁদের হাতে স্কুলের ব্যাগ, পেন পেন্সিল ও শীতের ব্ল্যাঙ্কেট তুলে দিয়ে সম্মানিত করা হয়। মাঠে পাতা হয় রেড কার্পেট। সম্বর্ধিত করা হয় ১৪ টি দলের খেলোয়ারদের সুসজ্জিত মঞ্চে। এ ছাড়াও ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিও ছিল লক্ষনীয়। দশ বছরের সুখ্যাতি আর ক্রিকেট প্রেমকে পাথেয় করে এই প্রতিযোগিতা থেকে উঠে আসা সম্ভবনাময় খেলোয়াড়রা অনেকেই নিজেদের কুশলী হিসেবে গড়ে তুলে রাজ্যের বহু প্রান্তে খেলছেন। প্রচারের আলো না পেলেও ক্রিকেটপ্রেমীদের আন্তরিক ভালোবাসা নিয়ে তাঁরা খেলছেন। 

Popular posts from this blog

MSME-DFO, Kolkata organized Vendor Development Programme for the MSME Sector at Indian Institute of Packaging, Kolkata

Nephrocare India celebrates its second anniversary by organizing a Walkathon – ‘A walk for your kidney’ and spread awareness for better Kidney care

Karnataka Tourism: A Cultural Odyssey Unveiled at IITM Hyderabad 2023